১৯৩০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্লাইড টমবগ(Clyde Tombaugh) আমাদের সৌরমণ্ডলের নবম গ্রহ অর্থাৎ প্লুটো(Pluto is discovered by Clyde Tombaugh) আবিষ্কার করেন।তারপর ইংল্যান্ডের এগারো বছরের একটি মেয়ে প্লুটোর নামকরণ করে।এই গ্রহের ৫ টি উপগ্রহ রয়েছে, যাদের নাম - শ্যারন,নিক্স,স্টিক্স,কারবেরোস,হাইড্রা।প্লুটো গ্রহের উপরিভাগে নাইট্রোজেন গ্যাসের স্তর রয়েছে।এর কক্ষপথের দৈর্ঘ্য সূর্য থেকে প্রায় ৫,৯১৩,৫২০,০০০ কিলোমিটার।সূর্য থেকে অনেক দূরে অবস্থান করা হয় এই গ্রহের তাপমাত্রা খুবই কম, মানে প্রায় মাইনাস ২২৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হয়।এই গ্রহের ভর ১.৩০৩e২২ কিলোগ্রাম এবং ব্যাস ২৩৭২ কিলোমিটার।  
                         প্লুটো পৃথিবীর তুলনায় অনেক ছোট একটি গ্রহ।পৃথিবী যেমন সূর্যকে পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করে, প্লুটো ঠিক তার বিপরীত অর্থাৎ পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে সূর্যকে আবর্তন করে।প্লুটো  ছাড়াও নেপচুন এবং শুক্র গ্রহও সূর্যকে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে আবর্তন করে।এই গ্রহটি সূর্য থেকে এতটাই দূরে অবস্থান করে যে সূর্য থেকে এখানে আলো পৌঁছাতে প্রায় ৫ ঘন্টা সময় লাগে, যেখানে সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে মাত্র ৮ মিনিট সময় লাগে। সূর্যকে একবার সম্পূর্ণ প্রদক্ষিণ করতে এই গ্রহের ২৪৮ বছর সময় লাগে, অর্থাৎ পৃথিবীর ২৪৮ বছর  প্লুটোর এক বছরের সমান।১৯৩০ সালে আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত একবারও  প্লুটো সূর্যকে সম্পূর্ণ প্রদক্ষিণ করতে পারেনি।

pluto,dwarf planet
(ছবিঃ প্লুটো গ্রহ)

কুলীন গ্রহ ও বামন গ্রহ: 

২০০৬ সালের ২৪ আগস্ট বিশ্বের অন্যতম মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের একটি অধিবেশনে সৌরজগতের গ্রহগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ কোরা হয় - ১) কুলীন গ্রহ এবং ২) বামন গ্রহ। 


"মহাকাশচারনা" ফেসবুক পেজে প্রতিদিন মহাকাশ সম্পর্কিত বিভিন্ন রহস্যময় ও সাম্প্রতিক তথ্য ও ঘটনা পোস্ট দেখতে পাবেন।                                                                                     তাই মহাকাশের রহস্যগুলো সম্পর্কে জানতে "মহাকাশচারনা" ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে সঙ্গে থাকুন ।

ফেসবুক পেজের লিংক 👉 ➡️ Facebook Page

মহাকাশের রহস্যময় ও সাম্প্রতিক তথ্য এবং ঘটনাগুলো সম্পর্কিত প্রতিনিয়ত ভিডিও দেখার জন্য "মহাকাশচারনা" ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। 

ইউটিউব চ্যানেল লিঙ্ক 👉 ➡️ YouTube

কিন্তু কুলীন গ্রহ ও বামন গ্রহের মধ্যে পার্থক্য কি? 

কুলীন গ্রহ ও বামন গ্রহ দুজনেই কোন নক্ষত্রের চারিদিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিক্রমন করে এবং দুজনেরই নির্দিষ্ট ভর থাকে।কিন্তু কুলীন গ্রহগুলি নিজের কক্ষপথের এবং চারপাশের পরিবেশকে পরিস্কার রাখে, অর্থাৎ নিজের কক্ষপথের সন্নিহিত অঞ্চল থেকে অন্য সব মজাগতিক বস্তুকে সরিয়ে দিতে পারে।
অন্যদিকে বামন গ্রহ নিজের কক্ষপথের সন্নিহিত অঞ্চল থেকে অন্য সব মজাগতিক বস্তুকে সরিয়ে দিতে পারেনা।আর এটাই কুলীন গ্রহ এবং বামন গ্রহের মধ্যে সবথেকে বড়ো পার্থক্য(This is the biggest difference between an Elite planet and a Dwarf planet)। 


প্লুটোকে বামন গ্রহ বলার কারণঃ                                                                                

              আবিষ্কারের পর থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত  প্লুটোকে গ্রহ হিসেবে মানা হতো।কিন্তু ২০০৩ সালে  এরিস আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে গ্রহের সংজ্ঞা বদলে যায়।ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের মতে, গ্রহ তাকেই বলা হবে যে- (১) সূর্যকে প্রদক্ষিণ করবে, (২) গোলাকার হবে এবং নির্দিষ্ট ভর থাকবে এবং (৩) নিজের কক্ষপথের এবং চারপাশের পরিবেশকে পরিষ্কার রাখবে।অর্থাৎ সামনে থাকা কোন কিছুকে নিজের দিকে টেনে নেবে বা নিজের থেকে দূরে সরিয়ে দেবে।প্রথম দুটি শর্ত মেনে চললেও তৃতীয় শর্তটি প্লুটো মানে না।এই কারনে ২০০৬ সাল থেকে প্লুটোকে বামন গ্রহ(This is why Pluto is called a Dwarf Planet) বলা হয়। 
নিচে দেওয়া লিঙ্ক থেকে আপনারা আমাদের সৌরমণ্ডলের বিভিন্ন গ্রহ উপগ্রহ এবং বামন গ্রহের ত্রিমাত্রিক দৃশ্য(3D ভিউ) দেখতে পাবেন।




মহাকাশচারনা Store ➡ www.amazon.in/shop/influencer-b8490df8