আমাদের সবার প্রিয় গ্রহের নাম পৃথিবী। কারণ পৃথিবীই আমাদের একমাত্র বাসস্থান এবং সৌরমণ্ডলের একমাত্র গ্রহ যেখানে জীবন উপস্থিত আছে। এর প্রাকৃতিক এবং বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য আর অন্য কোনো গ্রহে নেই আর থাকলেও তা এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আমরা সবাই পৃথিবী সম্পর্কে অনেক কিছু জানি। কিন্তু আজ পৃথিবীর এমন কতগুলি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো হয়তো আমরা অনেকেই অজ্ঞাত। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় ৪.৫ লক্ষ কোটি বছর আগে পৃথিবী সৃষ্টি হয়(According to astronomers, the Earth was formed about 4.5 trillion years ago)। পৃথিবী সৃষ্টি এবং পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টি নিয়ে অনেকের অনেক রকম ব্যাখ্যা আছে। তবে পৃথিবী যখন সৃষ্টি হয় তখন একটি গরম পিণ্ড ছিল ধীরে ধীরে এটি ঠাণ্ডা হয় এবং প্রাণের সৃষ্টি হয়।
পৃথিবী হলো আমাদের সৌরমণ্ডলের তৃতীয় গ্রহ। এই গ্রহের একটিমাত্র উপগ্রহ আছে, যাকে আমরা চাঁদ হিসেবে চিনি জানি। পৃথিবীর ভর ৫.৯৭২*১০^২৪ কিলোগ্রাম(5.972*10^24 kg), ব্যাসার্ধ ৬৩৭১ কিলোমিটার, উপরিপৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল ৫১০.১ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব ১৪৯.৬ মিলিয়ন কিলোমিটার(The distance from the sun to the earth is 149.6 million kilometers)। এই গ্রহের মুক্তিবেগ ১১.2 কিলোমিটার/সেকেন্ড(Escape Velocity of Earth is 11.2 km/s),অর্থাৎ কোন বস্তু বা কোন কিছুকে যদি এই বেগ নিয়ে ওপরে নিক্ষেপ(ছোড়া) হয়, তাহলে বস্তুটি পৃথিবীর বাইরে চলে যাবে।জানেন কি পৃথিবীতে মোট কয়টি দেশ রয়েছে(How many countries are there in the world)?
শেষ হিসেব অনুযায়ী পৃথিবীতে মোট ১৯৭ টি দেশ রয়েছে এবং ২০১৭ অনুযায়ী পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৭৫৩.০৪ কোটি।
(ছবিঃ পৃথিবী) |
পৃথিবীর ভৌগলিক রূপ(The geographical shape of the earth):
আমরা সবাই জানি যে, পৃথিবীর তিন ভাগ জল এবং এক ভাগ স্থল। আর এই গ্রহে প্রাণের প্রধান কারণ হল জল ও অক্সিজেনের উপস্থিতি। পৃথিবীর চারটি পরিমণ্ডল আছে রয়েছে, যথা- বায়ুমণ্ডল, জীবমন্ডল, জলমণ্ডল এবং অশ্বমন্ডল।
"মহাকাশচারনা" ফেসবুক পেজে প্রতিদিন মহাকাশ সম্পর্কিত বিভিন্ন রহস্যময় ও সাম্প্রতিক তথ্য ও ঘটনা পোস্ট দেখতে পাবেন। তাই মহাকাশের রহস্যগুলো সম্পর্কে জানতে "মহাকাশচারনা" ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে সঙ্গে থাকুন ।
ফেসবুক পেজের লিংক 👉 ➡️ Facebook Page
মহাকাশের রহস্যময় ও সাম্প্রতিক তথ্য এবং ঘটনাগুলো সম্পর্কিত প্রতিনিয়ত ভিডিও দেখার জন্য "মহাকাশচারনা" ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।
ইউটিউব চ্যানেল লিঙ্ক 👉 ➡️ YouTube
বায়ুমণ্ডল(Atmosphere):
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের প্রধান পাঁচটি স্তর রয়েছে, যথা - এক্সোস্ফিয়ার(৭০০-১০০০০ কিলোমিটার),থার্মোস্ফিয়ার(৮০-৭০০ কিলোমিটার),মেসোস্ফিয়ার(৫০-৮০ কিলোমিটার),স্ট্রাটোস্ফিয়ার(১২-৫০ কিলোমিটার),ট্রপোস্ফিয়ার(০-১২ কিলোমিটার)। এছাড়াও অন্যান্য স্তরগুলি হল- ওজোনোস্ফিয়ার,আয়নোস্ফিয়ার ,ম্যাগনেটোস্ফিয়ার,হোমোস্ফিয়ার। নিচে একটি টেবিল এর সাহায্যে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত গ্যাসের আয়তনের পরিমাণ দেখানো হলো।
গ্যাস | আয়তন | ||
---|---|---|---|
নাম | সংকেত | মোল/মিলিয়ন | শতাংশ |
নাইট্রোজেন | N2 | ৭৮০,৮৪০ | ৭৮.০৮৪ |
অক্সিজেন | O2 | ২০৯,৪৬০ | ২০.৯৪৬ |
আর্গন | Ar | ৯,৩৪০ | ০.৯৩৪০ |
কার্বন ডাই অক্সাইড | CO2 | ৪০০ | ০.০৪ |
নিয়ন | Ne | ১৮.১৮ | ০.০০১৮১৮ |
হিলিয়াম | He | ৫.২৪ | ০.০০০৫২৪ |
মিথেন | CH4 | ১.৭৯ | ০.০০০১৭৯ |
জীবমণ্ডল(Biosphere):
এখানে পৃথিবীর সমস্ত জীব অর্থাৎ উদ্ভিদ ও প্রাণীরা বাস করে।
জলমন্ডল(Hydrosphere):
পৃথিবীতে উপস্থিত জল অর্থাৎ জলাশয়, নদী, পুকুর, সাগর, মহাসাগর সব এই পরিমন্ডলের অন্তর্গত।
অশ্বমন্ডল(Lithosphere):
এটি পৃথিবীর একদম নিচের পরিমণ্ডল। আমরা জানি, পৃথিবীর সাতটি টেকটনিক প্লেট আছে। এই প্লেটগুলি অশ্বমন্ডলেই অবস্থিত। এই সাতটি প্লেটের অবস্থান পরিবর্তনের ফলে ভূমিকম্প হয়। এদের অবস্থান পরিবর্তন পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে হয়।
অবশেষেঃ
বর্তমানে আমরা অন্য গ্রহে প্রাণ খোঁজার চেষ্টা করছি বা অন্য কোনো গ্রহে বেঁচে থাকার পথ খুঁজছি। বিশেষ করে মঙ্গল গ্রহে(Mars Planet)। কারণ বিজ্ঞানীদের ধারণা হয়তো একদিন পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই মানব সভ্যতাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিজ্ঞানীরা এই চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও পৃথিবী ধ্বংস হতে এখনও বহু বছর বাকি। তবুও আমাদের এখন থেকেই চেষ্টা করতে হবে।
পৃথিবীর সমন্ধে আরও অনেক তথ্য আছে যেটা একই পেজের মধ্যে লেখা সম্ভব নয়। তাই আপনারা যদি পৃথিবী, পৃথিবীর সৃষ্টি, এখানে প্রাণের সৃষ্টি এবং পৃথিবীর ধ্বংস সম্বন্ধে জানতে চান বা আগ্রহী হন তাহলে নিম্নলিখিত ভিডিওটি দেখতে পারেন অথবা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করেও জানাতে পারেন।
মহাকাশচারনা Store:- www.amazon.in/shop/influencer-b8490df8
1 Comments
Nic post
ReplyDeletePost a Comment