আমারা সবাই চাঁদের সম্মন্ধে কিছুটা হলেও জানি। কারন মেঘলা দিন আর অমাবস্যা ছাড়া আমরা সবদিনই রাতের আকাশে চাঁদ দেখতে পাই। চাঁদ নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যেই কৌতূহল দেখা যায়। চাঁদ নিয়ে অনেক বই ও কবিতা রয়েছে। এমনকি অনেক চলচ্চিত্র এবং ধারাবাহিকেও চাঁদকে দেখানো হয়। বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত চাঁদের রহস্য সমাধানের চেষ্টা করছে। চাঁদ হল পৃথিবীর(Earth) একমাত্র উপগ্রহ এবং সৌরজগতের পঞ্চম বৃহত্তম উপগ্রহ, যাকে পৃথিবীর প্রাকৃতিক উপগ্রহ(Natural Satellite) বলা হয়। চাঁদকে আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আকারে দেখি, একে চাঁদের দশা(Moon Phase) বলা হয়।
পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ পৃথিবীকে অনবরত আবর্তন করে চলেছে।রাতের আকাশে আমরা চাঁদকে বিভিন্ন রূপে দেখতে পাই ,একে চাঁদের দশা(Moon Phase) বলে।চাঁদ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে থাকার জন্য পৃথিবী থেকে চাঁদের এই বিভিন্ন রূপ দেখা যায়।নিচে একটি চিত্রের সাহায্যে চাঁদের বিভিন্ন দশা এবং পৃথিবী থেকে তার অবস্থান দেখানো হয়েছে।
আমরা জানি চাঁদের নিজস্স কোনো আলো নেই,চাঁদ সূর্যের আলোতেই আলোকিত।চাঁদ যখন পৃথিবীর পিছনে প্রায় একই সরলরেখায় অবস্থান করে,তখন সূর্যের আলো চাঁদের সম্পূর্ণ উপরিপৃষ্ঠে পতিত হয়।তাই আমরা চাঁদকে সম্পূর্ণ রূপে দেখতে পাই এবং এই সময়কেই পূর্ণিমা বলে।চাঁদের এই দশাকে ফুল মুন(Full Moon) বলা হয়।এর পরের অবস্থায় চাঁদ পৃথিবীর সাথে কিছুটা কোণ করে অবস্থান করে।তাই আমরা কিছুটা অংশ দেখতে পাই।এই দশাকে ওয়ানিং গিব্বাস(Waning Gibbous) বলে।পরবর্তী দশায় পৃথিবী থেকে চাঁদের অর্ধেক অংশ দেখা যায় এই অবস্থাকে থার্ড কোয়ার্টার বলে(Third Quarter)।চতুর্থ দশাকে ওয়ানিং ক্রিসেন্ট বলে(Waning Crescent)।এর পরের দশায় আমরা চাঁদকে দেখতে পাইনা।এই সময়কে আমরা অমাবস্যা বলি।চাঁদের এই দশাকে নিউ মুন(New Moon) বলা হয়।পঞ্চম দশাকে ওয়াক্সিং ক্রিসেন্ট(Waxing Crescent) বলা হয়।সপ্তম অবস্থাতেও আমরা চাঁদের অর্ধেক অংশ দেখতে পাই এবং একে ফার্স্ট কোয়ার্টার(First Quarter) বলে।পরবর্তী এবং শেষ দশাকে ওয়াক্সিং গিব্বাস(Waxing Gibbous) বলা হয়।
2 Comments
চাঁদের বিভিন্ন দশাকে এই নামে ডাকে আগে জানতাম না। এই জ্ঞানের জন্য দন্যবাদ।
ReplyDeleteখুবই সুন্দর লেখা, ধন্যবাদ
DeletePost a Comment