আমরা সিনেমা দেখতে সকলেই পছন্দ করি।বিশেষ করে মহাকাশ বিষয়ক বা সাইন্স ফ্রিক্শন সিনেমা দেখতে আমাদের বেশ ভালোই লাগে।কারণ এই ধরনের সিনেমাগুলো অসম্ভব এবং কাল্পনিক কিছু দৃশ্যের মাধ্যমে আমাদেরকে এক অন্য জগতে নিয়ে যায়।সুন্দর গল্প,অভিনয়,পরিবেশনা, অ্যানিমেশন ও পরিচালনার মাধ্যমে দর্শকের মনে মহাকাশ ও বিজ্ঞানের প্রতি এক আলাদা আকর্ষণ জাগিয়ে তোলে।আর এই ধরনের সিনেমা দেখার পর আমাদের মনে অনেক বিজ্ঞান বিষয়ক চিন্তা এবং মহাকাশের রহস্য সম্পর্কিত অনেক প্রশ্ন সঞ্চারিত হয়।
এরকম বেশ কিছু সিনেমা এবং ওয়েব
সিরিজ আছে, যেগুলো এন্টারটেইনমেন্টের পাশাপাশি সুন্দর ও আকর্ষণীয় গল্পের মাধ্যমে মহাকাশ
এবং বিজ্ঞানের জটিল তথ্যগুলো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। আপনারা
যদি মহাকাশের পাঁচটি দারুন ওয়েব সিরিজের নাম জানতে চান,তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।
তবে আজকের ভিডিওতে মহাকাশের পাঁচটি
দারুন সিনেমা সম্পর্কে বলা হবে, যা না দেখলে মিস করে যাবেন।সুতরাং ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত
দেখার অনুরোধ রইলো।তো চলুন জেনে নেওয়া যাক।
5) লাইফ(Life):-
লাইফ ২০১৭ সালের মার্চ মাসে মুক্তিপ্রাপ্ত মার্কিন ভৌতিক কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্র।এই চলচ্চিত্রটি গড়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংস্থার ছয় সদস্যের একটি গবেষক দলকে কেন্দ্র করে। মহাকাশে জীবন সৃষ্টি হতে পারে কিনা সেই বিষয়ে গবেষণা করার জন্য এই দলটিকে মহাকাশে পাঠানো হয়।তারপর কি হয় সে বিষয়ে জানতে সিনেমাটি দেখতে হবে।
মুভিটিতে অভিনয় করেছেন -
·
জ্যাক জিলেনহল
·
রায়ান রেনল্ডস
·
রেবেকা ফার্গুসন
·
হিরোয়ুকি সানাদা
·
আরিয়োন বাকার
·
ওলগা দিহোভিচনায়া
আর পরিচালনা করেছেন ড্যানিয়েল ইসপিনোসা
চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৫৮ মিলিয়ন ডলার এবং মুক্তির পরে থেকে আয় ১০০ মিলিয়ন ডলারেও বেশি।
আইএমডিবি
রেটিং(IMDB rating):- ৬.৬
4) প্যাসেঞ্জার(Passenger):-
প্যাসেঞ্জারস একটি ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আমেরিকান সায়েন্স-ফিকশন রোম্যান্স ফিল্ম।সিনেমাটিতে একটি মহাকাশযান হাজার হাজার যাত্রী পরিবহন করছেন, পৃথিবী থেকে ৬০ আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্র ব্যবস্থায় একটি গ্রহের উপনিবেশে ভ্রমণ করছে।এখানে এক ব্যক্তিকে দেখানো হয়েছে যিনি একটি স্পেসশিপে প্ররোচিত হাইবারনেশন থেকে ৯০ বছর আগে জাগ্রত হয়েছেন, যিনি অরোরা নামে আরেক যাত্রীর প্রতি আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন।
সিনেমাটি মর্টেন টাইলডাম দ্বারা পরিচালিত এবং জন স্পাইহটস দ্বারা রচিত।প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জেনিফার লরেন্স এবং খ্রিস প্যাট।
এর বাজেট ছিল ১১০-১৫০ মিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বব্যাপী আয় করেছে প্রায় ৩০৩ মিলিয়ন ডলার।
এটি লরেন্স এবং প্র্যাটের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি নিউম্যানের মিউজিক্যাল স্কোর, ভিজ্যুয়াল স্টাইল এবং প্রোডাকশন ভ্যালুর জন্য ইতিবাচক নোটিশ পেয়েছে এবং 89 তম একাডেমি পুরস্কারে সেরা মূল স্কোর ও সেরা উৎপাদন নকশার জন্য মনোনয়ন পেয়েছে।
আইএমডিবি
রেটিং(IMDB rating):- ৭
3) গ্র্যাভিটি(Gravity):-
গ্র্যাভিটি একটি 2013 সালের সায়েন্স ফ্রিকশন থ্রিলার চলচ্চিত্র যা আলফোনসো কুয়ারান দ্বারা পরিচালিত, যিনি চলচ্চিত্রটি সহ-রচনা, সহ-সম্পাদনা এবং প্রযোজনা করেছিলেন। এতে স্যান্ড্রা বুলক এবং জর্জ ক্লুনি আমেরিকান নভোচারী হিসাবে অভিনয় করেছেন যারা তাদের মহাকাশযানটির মধ্য-কক্ষপথ ধ্বংসের পর মহাকাশে আটকা পড়ে এবং পৃথিবীতে ফেরার চেষ্টা করেন।
চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল আর বিশ্বব্যাপী ২৩২ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করেছিল, যা ২০১৩ সালের অষ্টম সর্বোচ্চ-উপার্জনকারী চলচ্চিত্র হয়ে উঠেছিল। ছবিটি অসংখ্য সমালোচক এবং গিল্ডদের কাছ থেকে প্রশংসা অর্জন করেছে। ৮৬ তম একাডেমি পুরস্কারে, গ্র্যাভিটি বুলক এবং সেরা ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী সহ দশটি মনোনয়ন পেয়েছিল, এবং সেরা পরিচালক, সেরা সিনেমাটোগ্রাফি এবং সেরা ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট সহ সাতটি পুরস্কার জিতেছিল। চলচ্চিত্রটি ছয়টি বাফটা পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল অসামান্য ব্রিটিশ চলচ্চিত্র এবং শ্রেষ্ঠ পরিচালক, সেরা পরিচালকের জন্য গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, সাত সমালোচকদের পছন্দ চলচ্চিত্র পুরস্কার, রে ব্র্যাডবারি পুরস্কার, এবং ২০১৪ তে নাটকীয় উপস্থাপনার জন্য হুগো পুরস্কার।
আইএমডিবি
রেটিং(IMDB rating):- ৭.৭
2) ইন্টারস্টিলার(Interstellar):-
ইন্টারস্টিলার ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি
রোমাঞ্চকর সায়েন্স ফ্রিকশন ফিল্ম,যা ক্রিস্টোফার নোলান দ্বারা পরিচালিত এবং প্রযোজিত।
এতে অভিনয় করেছেন ম্যাথিউ ম্যাককোনাঘি, অ্যান হ্যাথওয়ে, জেসিকা চেস্টেইন, বিল আরউইন, এলেন বার্স্টিন এবং মাইকেল কেইন।
ফিল্মটিতে ভবিষ্যতে মানব সভ্যতা
গড়ে উঠতে পারে এমন একটি গ্রহের খোঁজে একটি নভোচারী দলকে পাঠানো হয়েছিল।মহাকাশে ভ্রমনকালীন
তাদের সময় খুব ধীরে চলছিল।তারা শনির
কাছাকাছি একটি ওয়ার্মহোল দিয়ে ভ্রমণ করে এবং
একটি গ্রহে অবতরন করে।তারপর কি হয়েছিল তা জানতে অবশ্যই সিনেমাতি দেখুন।
এই সমস্ত মুভিগুলো দেখার জন্য
ডেসক্রিপশনে দেওয়া লিঙ্ক থেকে “মহাকাশচারনা” টেলিগ্রাম চ্যানেলটিতে অবশ্যই জয়েন করুন।
ফ্লিমটির বাজেট ছিল প্রায় ১৬৫
মিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বব্যাপী ৬৬৭ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করেছে।এটি ২০১৪ সালের দশম সর্বোচ্চ-উপার্জনকারী চলচ্চিত্র। ৮৭ তম একাডেমি পুরস্কারে, চলচ্চিত্রটি সেরা ভিজ্যুয়াল এফেক্টের জন্য একাডেমি পুরস্কার জিতেছে, এবং সেরা সাউন্ড মিক্সিং, সেরা সাউন্ড এডিটিং এবং সেরা প্রোডাকশন ডিজাইনের জন্য মনোনীত হয়েছিল।
আইএমডিবি
রেটিং(IMDB rating):- ৮.৬
দ্য মার্টিয়ান একটি
২০১৫
সালের
সায়েন্স
ফিকশন
চলচ্চিত্র, যা রিডলি
স্কট
দ্বারা
পরিচালিত।
এই ছবিতে একটি
মহাকাশচারীর মঙ্গল গ্রহে দুর্ঘটনাবশত হারিয়ে যাওয়ার পর
বেঁচে
থাকার
একাকী
সংগ্রাম
এবং
তাকে
উদ্ধার
করে
পৃথিবীতে
ফিরিয়ে আনার ঘটনা দেখানো
হয়েছে।
এতে অভিনয় করেছেন ম্যাট ডেমন জেসিকা চ্যাস্টেইন, জেফ ড্যানিয়েলস, ক্রিস্টেন উইগ, চিওয়েটেল ইজিওফর, শন বিন, মাইকেল পেনা, কেট মার, সেবাস্টিয়ান স্ট্যান, আকসেল হেনি, ম্যাকেনজি ডেভিস, ডোনাল্ড গ্লোভার এবং বেনেডিক্ট ওয়াং।
এটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছিল প্রায় ১০৮ মিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বব্যাপী ৬৩০ মিলিয়নের ডলারেরও বেশি আয়
করেছে,
সেইসাথে
২০১৫-এর দশম-সর্বোচ্চ-উপার্জনকারী চলচ্চিত্র। সঠিকতা, এবং
পছন্দ,
মূলত
ড্যামনের
পারফরম্যান্সের কারণে।এছাড়াও ৮৮ তম একাডেমি
অ্যাওয়ার্ডে সাতটি মনোনয়ন,
গড্ডার্ডের জন্য সেরা
ছবি
এবং
সেরা
অভিযোজিত
চিত্রনাট্য এবং ২০১৬ সালের দীর্ঘ
নাটকীয়
উপস্থাপনার জন্য হুগো
পুরস্কার
সহ
বেশ
কয়েকটি
প্রশংসা
পেয়েছে।
ড্যামন
সেরা
অভিনেতা
- মোশন
পিকচার
মিউজিক্যাল বা কমেডির
জন্য
গোল্ডেন
গ্লোব
পুরস্কার
জিতেছিলেন এবং শ্রেষ্ঠ
অভিনেতার
জন্য
একাডেমি
পুরস্কার,
প্রধান
চরিত্রে
সেরা
অভিনেতার
জন্য
বাফটা
পুরস্কার
এবং
শ্রেষ্ঠ
অভিনেতার
জন্য
সমালোচকদের পছন্দ পুরস্কার
সহ
বেশ
কয়েকটি
পুরস্কারের জন্য মনোনীত
হন।
আইএমডিবি রেটিং(IMDB rating):- ৮
তো এই ছিল মহাকাশের টপ ৫ টি মুভির নাম।এগুলোর মধ্যে কোন মুভিগুলো আপনারা দেখেছেন এবং কোনটা সবথেকে ভালো লেগেছে সেটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর না দেখে থাকলে অবশ্যই দেখুন এবং তার জন্য “মহাকাশচারনা” টেলিগ্রাম চ্যানেলটিতে অবশ্যই জয়েন করুন। এছাড়াও ফেসবুক,ইন্সটাগ্রামে মহাকাশচারনাকে ফলো করার অনুরোধ রইলো।
আরও জানতে নিম্নলিখিত ভিডিওটি দেখতে পারেন ↴
0 Comments
Post a Comment