সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ কোনটি(Which is the second-largest planet in our Solar System)?
আমাদের সৌরমণ্ডলের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ষষ্ঠ গ্রহের নাম শনি গ্রহ(The second-largest and the sixth planet of our Solar System is Saturn)।বৃহস্পতির(Jupiter) মত এটিও একটি গ্যাসীয় গ্রহ।শনি গ্রহের ইংরেজি নাম স্যাটার্ন এসেছে রোমান কৃষি দেবতা স্যাটার্নের নাম থেকে।এই গ্রহের ব্যাসার্ধ ৫৮,২৩২ কিলোমিটার, যা পৃথিবীর(Earth) ব্যাসার্ধের প্রায় ৯ গুন।এই গ্রহের আয়তন পৃথিবীর আয়তনের প্রায় ৯৫ গুণ বেশি।অর্থাৎ একটি শনি গ্রহ প্রায় ৭৬০ টি পৃথিবীর সমান। কিন্তু সূর্যের সঙ্গে এই গ্রহের তুলনা করলে দেখা যাবে যে, একটি সূর্য প্রায় ১৬০০ টি শনি গ্রহের সমান।শনি গ্রহের গড় ঘনত্ব পৃথিবীর গড় ঘনত্বের এক অষ্টমাংশ।একটা মজার ব্যাপার হলো যে, শনি গ্রহকে জলের ওপর রাখলে এটি না ডুবে গিয়ে বরং ভাসবে।
নিজের অক্ষের চারদিকে আবর্তন করতে এই গ্রহের ১০ ঘণ্টা ৪২ মিনিট সময় লাগে।সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে এই গ্রহের প্রায় ২৯ বছর সময় লাগে।শনি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে প্রায় ৯৪% হাইড্রোজেন, ৬% হিলিয়াম এবং কিছু পরিমাণ অ্যামোনিয়া ও মিথেনও উপস্থিত আছে।
(ছবিঃ শনি গ্রহ)
শনির গ্রহের বলয়(Saturn planet rings):
শনি গ্রহটি তার বলয়ের কারনেই সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের তুলনায় সৌন্দর্যের উৎকর্ষে রয়েছে।১৬১০ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও সর্বপ্রথম টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহকে পর্যবেক্ষণ করেন এবং এর বলয় দেখতে পান।পরবর্তীকালে নাসার বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন চেষ্টার পর এই বলয়টি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়।মজার ব্যাপার হলো এই বলয়টি এতটাই বিশাল যে, এর মধ্যে অনেকগুলি পৃথিবী ঢুকে যেতে পারে।বলয়টি বরফ, ধূলিকণা এবং গ্যাস দিয়ে তৈরি।
"মহাকাশচারনা" ফেসবুক পেজে প্রতিদিন মহাকাশ সম্পর্কিত বিভিন্ন রহস্যময় ও সাম্প্রতিক তথ্য ও ঘটনা পোস্ট দেখতে পাবেন। তাই মহাকাশের রহস্যগুলো সম্পর্কে জানতে "মহাকাশচারনা" ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে সঙ্গে থাকুন ।
ফেসবুক পেজের লিংক 👉 ➡️ Facebook Page
মহাকাশের রহস্যময় ও সাম্প্রতিক তথ্য এবং ঘটনাগুলো সম্পর্কিত প্রতিনিয়ত ভিডিও দেখার জন্য "মহাকাশচারনা" ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।
ইউটিউব চ্যানেল লিঙ্ক 👉 ➡️ YouTube
উপগ্রহ এবং স্যাটেলাইটঃ
শনি গ্রহের মোট উপগ্রহ কয়টি(How many satellites does Saturn have)?
মূলত শনি গ্রহের 62 উপগ্রহ রয়েছে, যার মধ্যে ৫৩ টি উপগ্রহের নাম দেয়া হয়েছে।এরমধ্যে টাইটান সবচেয়ে বড় উপগ্রহ(Biggest moon of Saturn is Taitan), এমনকি এটি বুধ(Mercury) এবং প্লুটোর(Pluto) থেকেও বড়ো।মাইমাস হল শনি গ্রহের সবচেয়ে ছোট উপগ্রহ(Maimas is the smallest moon of Saturn)।
এখনও পর্যন্ত চারটি স্যাটেলাইট শনি গ্রহের কাছ দিয়ে গেছে।১৯৭৯ সালে পাইওনিয়ার-১১ ছিল প্রথম স্যাটেলাইট(Pioneer-11 in 1979), যা শনি গ্রহের কাছ দিয়ে গিয়েছিল।এরপর ১৯৮০ সালে ভয়জার-১ এবং ১৯৮১ সালে ভয়জার-২ পাঠানো হয়েছিল(Voyager-1 and Voyager-2 in 1980 and 1981), যা শনি গ্রহের সম্বন্ধে অনেক তথ্য দিয়েছিল।২০০৪ সালের জুলাই মাসে ক্যাসিনি নামক স্যাটেলাইট পাঠানো হয়(Cassini in 2004)।এটি অনেকদিন ধরে শনি গ্রহকে পর্যবেক্ষণ করে এবং এই গ্রহের সম্বন্ধে অনেক তথ্য সংগ্রহ করে।
শনি গ্রহ এবং তার বলয় নিয়ে সবার মধ্যেই কৌতূহল দেখা যায়। তাই বিজ্ঞানীরা এই গ্রহের অজানা রহস্য জানার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মহাকাশের সবকিছু পাবেন এখানে ➡ www.amazon.in/shop/influencer-b8490df8
6 Comments
Ank kichu jana gelo,keep it bro😊
ReplyDeleteদারুণ লাগলো, শণি গ্রহ সম্পর্কে আরও কিছু জানা বাকি রইলো, বিশেষত ওই স্যাটেলাইট গুলি সম্পর্কে আরও তথ্য জানা গেলে ভালো হতো, আশায় থাকলাম 🙂
ReplyDeleteঅবশ্যই, আমার পরবর্তী ব্লগগুলোতে এগুলো নিয়ে আলোচনা করব।
DeleteDarun hoyeche
ReplyDeleteIts a great pleasure reading your post.
ReplyDeleterouge planet
ভালো লাগলো। আমিও মহাকাশ নিয়ে লিখে থাকি। সৌরজগতের বৃহত্তম উপগ্রহ কোনটি?
ReplyDeletePost a Comment