শুক্র গ্রহ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিশুক্র গ্রহ আমাদের সৌরমণ্ডলের দ্বিতীয় গ্রহএকে পৃথিবীর বোন গ্রহ বলা হয়,কারন পৃথিবী আর শুক্র গ্রহের মধ্যে অনেক মিল পাওয়া গেছে

আজ পর্যন্ত অনেকগুলো মিশন শুক্র গ্রহে পাঠানো হয়েছেযাদের মধ্যে পায়ওনিয়ার,ভেনাস-,ভেনেরা ১১-১৪ খুবই গুরুত্বপূর্ণএইসমস্ত মিশনের মাধ্যমে শুক্র গ্রহ সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া গেছেএছাড়া শুক্র গ্রহের অনেক রঙ্গিন ছবি পাওয়া গাছে,যার থেকে বিজ্ঞানীরা এই গ্রহ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পেরেছেনসোভিয়েত ইউনিয়নের ভেনেরা ছিল প্রথম মহাকাশযান, যা  শুক্র গ্রহের বুকে সফ্ট ল্যান্ডিং করতে সফল হয়েছিল।এরপর শুক্র গ্রহে আরও অনেক মহাকাশযান পাঠানো হয়েছিল।এই সমস্ত মহাকাশযানের মাধ্যমে জানা যায় যে, এটি হলো আমাদের সৌরজগতের সবথেকে গরম গ্রহ এবং এখানে সক্রিয় ভলক্যানো আছে।এটি গ্রহের উস্নতা অনেক বেশি,প্রায় ৪৬২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড২২৫ দিনে এই গ্রহের এক বছর হয়শুক্র গ্রহের কোন উপগ্রহ নেইশুক্র গ্রহের কোন চৌম্বক ক্ষেত্র নেইএর ঘূর্ণন গতি অনেক ধীর এবং যেখানে বেশিরভাগ গ্রহ পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে ঘোরে,এই গ্রহ পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘোরেএর আর্নিক গতি পৃথিবীর ১১৬.৭৫ দিনের সমানএই গ্রহের বায়ুমণ্ডলে প্রায় বেশিরভাগটাই কার্বন-ডাই-অক্সাইড(co2) গ্যাস রয়েছেএখানে প্রায় ৯৬% কার্বন-ডাই-অক্সাইড(co2) গ্যাস রয়েছেআর মাত্র . ভাগ অক্সিজেন গ্যাস রয়েছেএছাড়া কিছু পরিমাণ হাইড্রোজেন,নাইট্রোজেন,অ্যামোনিয়া এবং জলীয় বাষ্প রয়েছে

 

Venus Planet
শুক্র গ্রহের উপরিভাগ

তখন বিজ্ঞানীরা মনে করতেন শুক্র গ্রহ জীবন সৃষ্টির জন্য উপজুক্ত নয়।তারপর থেকে তাঁরা মঙ্গল গ্রহের উপর গবেষণা শুরু করে/মঙ্গল গ্রহের উপর জোর দিয়েছিল।কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা যায়, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সাথে শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডলের অনেক মিল রয়েছে এবং বিজ্ঞানীরা নাকি শুক্র গ্রহে একটি গ্যাসের খোঁজ পেয়েছে,যা ভবিষ্যতে এই গ্রহে জীবন সৃষ্টিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে।

·        ওই গ্যাসের নাম কি?

·        বিজ্ঞানীরা হঠাৎ করে শুক্র গ্রহ নিয়ে এত আগ্রহী কেন?

সেসম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক হলে কমেন্ট করে জানাবেন।

তবে আজকে ভারতের প্রথম শুক্র অভিযান অর্থাৎ শুক্রযান-১ সম্পর্কে বলব।


কয়েক বছরের মধ্যে ইসরো শুক্র গ্রহে একটি অভিযান পাঠানোর পরিকল্পনা করছেএটি হবে ভারতের প্রথম শুক্র মিশনতাই এই মিশনের নাম দেওয়া হবে শুক্রযান-

 তো চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আপনারা সবাই জানেন যে, বড়ো বড়ো দেশের মহাকাশ সংস্থা যা করতে পারেনি তা ইসরো অল্প খরচে করে দেখিয়েছে এবং সফল হয়েছে।চাঁদএবং মঙ্গলের পর ইসরোর নজর এবার শুক্র গ্রহে।অর্থাৎ মঙ্গলযান এবং চন্দ্রযানের পর এই প্রথমবার ইসরো শুক্রযান পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে।

ইসরোর তথ্য অনুযায়ী এই অভিযান ২০২৩-২০২৬ এর মধ্যে উৎক্ষেপণ করা হতে পারে।এটি শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে জিএসএলভি মার্ক-৩ রকেটের সাহায্য উৎক্ষেপণ করা হতে পারে।এর ক্ষমতা প্রায় ৫০০ ওয়াট হতে পারে, ভর ২৫০০ কেজি বা ৫৫০০ পাউন্ড এবং পেলোডের ভর হবে প্রায় ১০০ কেজি অর্থাৎ ২২০ পাউন্ড।এই মিশনটি ৪ বছর ধরে চলবে।এর প্রধান উদ্দেশ্য শুক্র গ্রহের কক্ষপথে ভ্রমন করে এর বায়ুমণ্ডল এবং মাটি পর্যবেক্ষণ করা।

এখনও পর্যন্ত ইসরোর তথ্য অনুযায়ী এটুকুই জানা গেছে।ভবিষ্যতে শুক্রযান সম্পর্কে ইসরোর তরফে আরও কিছু জানানো হলে “মহাকাশচারনা” চ্যানেলে সেবিষয়ে অবশ্যই ভিডিও আপলোড করা হবে।তার জন্য আপনারা চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করে বেল আইকনের অল নোটিফিকেশন অপশনে ক্লিক করে দেবেন।আজকের ভিডিও এই পর্যন্তই ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক করবেন এবং সবার সাথে শেয়ার করে বাকিদেরও জানার সুযোগ করে দেবেন।আর মহাকাশ সম্পর্কিত সাম্প্রতিক খবর এবং বিভিন্ন রহস্যময় ও বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য সম্পর্কে জানতে ডেসক্রিপশনে দেওয়া লিঙ্ক থেকে ফেসবুক,ইন্সটাগ্রাম ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে “মহাকাশচারনা” কে ফলো করবেন।