প্রাচীনকালে মানুষের ধারনা যে, শুধুমাত্র পৃথিবীতেই প্রানের অস্তিত্ব রয়েছে এবং পৃথিবী এই মহাবিশ্বের কেন্দ্রে অবস্থিত।কিন্তু বহুদিন ধরে অনেক বিজ্ঞানী ও মহাকাশ সংস্থার গবেষণা ও কঠোর পরিশ্রমের পর জানা যায় যে, এই মহাবিশ্ব অনন্ত এবং পৃথিবী এই মহাবিশ্বের অতি ক্ষুদ্র একটি অংশ।তার পর থেকে মহাবিশ্বের প্রতি বিজ্ঞানীদের কৌতূহল আরও বেড়ে যায়।সেই কৌতূহলবশত গবেষণা করে নাসা কিছু গ্রহের সন্ধান পেয়েছে, যেখানে প্রাণ থাকতে পারে বা ভবিষ্যতে প্রাণ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সেইরকমই একটি গ্রহ হল কেপলার ১৬৪৯ সি(Keplar 1649 c)।২০১৮ সালে এই গ্রহটিকে প্রথম খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।নাসায় ইন্টার্নশিপ করতে আসা উলফ কুকিয়ার(Wolf Cukier) নামক এক ১৭ বছরের যুবক এই গ্রহের সন্ধান দিয়েছিল।


keplar 1649 c
পৃথিবীর মতো গ্রহ-কেপলার


নাসা এই গ্রহটিকে কেপলার স্পেস টেলিস্কোপের(Kepler Space Telescope) দ্বারা খুঁজে পাওয়া এপর্যন্ত পৃথিবীর সাথে সর্বাধিক অনুরূপ গ্রহ হিসাবে বর্ণনা করেছে।অর্থাৎ কেপলার স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে যেসমস্ত গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে পৃথিবীর সাথে এই গ্রহটির সর্বাধিক মিল রয়েছে।এই গ্রহ পৃথিবী থেকে মাত্র ১.৬ গুন বড়ো।এটি একটি পাথুরে গ্রহ।গ্রহতি তার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে মাত্র ১৯.৫ দিন সময় নেয়।অর্থাৎ পৃথিবীতে ১৯.৫ দিন এই গ্রহে ১ বছরের সমান।

keplar
কেপলার-১৬৪৯ সি

এখনও পর্যন্ত কেপলার ১৬৪৯ সি – এর জলবায়ু সম্পর্কে খুবই কম তথ্য পাওয়া গিয়েছে।গ্রহটি তার নক্ষত্র থেকে প্রায় ৭৫% আলো পায়।আর পৃথিবীও সূর্য থেকে প্রায় সমপরিমাণ আলো পায়।তাই বায়ুমণ্ডল ও তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন যে,এই গ্রহে যথেষ্ট পরিমাণে জল থাকতে পারে।জলের ধারনা থেকেই বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন যে, এই গ্রহে প্রানের অস্তিত্বও থাকতে পারে।তাই এই গ্রহের রহস্য উদঘাটনের জন্য বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে।তবে আপনাদের কি মনে হয়, এই অনন্ত বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে শুধু আমরাই কি একা? অর্থাৎ শুধু পৃথিবীতেই কি প্রানের অস্তিত্ব রয়েছে? নাকি এই মহাবিশ্বের অন্য কোন গ্রহেও প্রাণ রয়েছে? আপনাদের মতামত অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

এছাড়া নিম্নলিখিত ভিডিওটিও দেখতে পারেন।