সূর্যের সবথেকে নিকটতম গ্রহ হল বুধ।আকারে এই গ্রহ আমাদের সৌরমণ্ডলের সবথেকে ছোটো গ্রহ।এটি চাঁদের থেকে সামান্য বড়।বুধের ভর পৃথিবীর ভরের ০.০৬ ভাগ(প্রায় ৩.২৯*১০^২৩ কেজি)।এর ব্যাসার্ধ ৪৮৭৯ কিলোমিটার।এই গ্রহের কোন চাঁদ নেই।সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে মাত্র ৮৮ দিন সময় লাগে অর্থাৎ ৮৮ দিনে এই গ্রহের এক বছর হয়।নিজ অক্ষের চারপাশে আবর্তন করতে এই গ্রহের প্রায় ৫৮ দিন সময় লাগে।সূর্যের সবথেকে কাছে থাকায় দিনেরবেলায় এই গ্রহের পৃষ্ঠতলের উষ্ণতা থাকে প্রায় ৪২৭ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড।কিন্তু রাতেরবেলায় উল্টা হয়,তখন তাপমাত্রা থাকে প্রায় -১৭৩ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড।পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল ৭৪,৭৯৭,০০০ বর্গ কিলোমিটার।ঘনত্ব ৫.৪৩ গ্রাম/ঘনসেমি।মুক্তিবেগ ৪.২৫ কিমি/সেকেন্ড।বুধের চৌম্বকক্ষেত্র পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের ০.১%।
রোমানরা তাদের দেবতা মারকিউরি এর নাম অনুসারে এই গ্রহের নামকরণ করেছিল।বাংলা নাম বুধ এসেছে সংস্কৃত নাম থেকে।ভারতীয় সংস্কৃতি অনুসারে বুধ হল চন্দ্রের পুত্র। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীর পূর্বে বুধ গ্রহকে দুটো বস্তুর সমন্নয় হিসেবে মনে করা হত, যার একটি সূর্যোদয়ের সময় এবং অপরটি সূর্যাস্তের সময় দেখা যেত।
রোমানরা তাদের দেবতা মারকিউরি এর নাম অনুসারে এই গ্রহের নামকরণ করেছিল।বাংলা নাম বুধ এসেছে সংস্কৃত নাম থেকে।ভারতীয় সংস্কৃতি অনুসারে বুধ হল চন্দ্রের পুত্র। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীর পূর্বে বুধ গ্রহকে দুটো বস্তুর সমন্নয় হিসেবে মনে করা হত, যার একটি সূর্যোদয়ের সময় এবং অপরটি সূর্যাস্তের সময় দেখা যেত।
অভ্যন্তরীণ গঠন ও ভূ-তত্ত্বঃ
বুধে ৭০% ধাতব এবং ৩০% সিলিকেট উপাদান উপস্থিত রয়েছে।এর ঘনত্ব ৫.৪৩ গ্রাম/ঘনসেমি,যা পৃথিবীর থেকে সামান্য কম।অর্থাৎ এই গ্রহ আমাদের সৌরমণ্ডলে ঘনত্বের দিক থেকে দ্বিতীয়।কেন্দ্রের চারপাশে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে ম্যানটাল রয়েছে।সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহগুলির তুলনায় বুধ গ্রহে লৌহের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
বুধ গ্রহের পৃষ্ঠতল অনেকটা চাঁদের মতো,এখানে চাঁদের মতো সাগর এবং খাদ রয়েছে।বুধের পৃষ্ঠতলীয় বিষয়সমূহকে যেভাবে নামকরণ করা হয়েছেঃ-
১) ডরসাম - পর্বতশ্রেণী(ridge), ২) মন্টেস - পর্বতসমূহ, ৩) প্ল্যাটিনিয়া - সমভূমিসমূহ, ৪) রুপি - পাহাড়ের ধাল, ৫) উপত্যকা - উপত্যকাসমূহ।বিজ্ঞানীদের মতে, সৃষ্টির সময় এই গ্রহে প্রচুর পরিমাণে ধুমকেতু ও উল্কার বর্ষণ হয়েছিল।
"মহাকাশচারনা" ফেসবুক পেজে প্রতিদিন মহাকাশ সম্পর্কিত বিভিন্ন রহস্যময় ও সাম্প্রতিক তথ্য ও ঘটনা পোস্ট দেখতে পাবেন। তাই মহাকাশের রহস্যগুলো সম্পর্কে জানতে "মহাকাশচারনা" ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে সঙ্গে থাকুন ।
ফেসবুক পেজের লিংক 👉 ➡️ Facebook Page
মহাকাশের রহস্যময় ও সাম্প্রতিক তথ্য এবং ঘটনাগুলো সম্পর্কিত প্রতিনিয়ত ভিডিও দেখার জন্য "মহাকাশচারনা" ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।
ইউটিউব চ্যানেল লিঙ্ক 👉 ➡️ YouTube
বায়ুমণ্ডলঃ
বুধ গ্রহ এতটাই ছোট যে, এর অভিকর্ষ বল খুবই কম।তাই এখানে কোনো স্থায়ী বায়ুমণ্ডল থাকা সম্ভব নয়।তবে এই গ্রহে সামান্য পরিমাণ হাইড্রোজেন,হিলিয়াম,সোডিয়াম,ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম উপস্থিত রয়েছে।হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম পরমাণু সূর্য থেকে উৎপন্ন হয়।বুধে কিছু পরিমাণ বাষ্পও উপস্থিতি রয়েছে।
অভিযানসমূহঃ
কোনো মহাকাশযানকে বুধে পাঠাতে গেলে অনেক বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়।তাই এখনও পর্যন্ত বুধে খুব কম মহাকাশযানকে পাঠানো হয়েছে। (i) ১৯৭৪-৭৫ সালে নাসা মেরিনার-১০ মহাকাশযান বুধের উদ্দেশ্যে পাঠায়।এই মহাকাশযান থেকে বুধের অনেক ছবি পাওয়া যায়।এছাড়া বুধের আরও অনেক ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা যায়।
(ii) নাসা বুধে দ্বিতীয় যে অভিযানটি পাঠিয়েছিল সেটির নাম হল মেসেঞ্জার।এটি ২০০৪ সালের ৩ আগস্ট উৎক্ষেপণ করা হয়।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেপ ক্যানাভেরাল থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়।২০১১ সালের মার্চ মাসে এই মহাকাশযান বুধের কক্ষপথে প্রবেশ করে।মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বুধের গাঠনিক উপাদান,চৌম্বকক্ষেত্রের প্রকৃতি ও কেন্দ্রের গঠন সম্পর্কে জানা যায়। (iii) এরপর জাপান ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি যৌথভাবে বুধের উদ্দেশ্যে একটি মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনা করে,যা বেপিকলম্বো নামে পরিচিত।এটি প্রায় এক বছর ধরে বুধের কক্ষপথে থেকে অধ্যয়ন করবে।
0 Comments
Post a Comment