আমরা সবাই চাঁদের সম্মন্ধে কিছুটা হলেও জানি। কারন মেঘলা দিন আর অমাবস্যা ছাড়া আমরা সবদিনই রাতের আকাশে চাঁদ দেখতে পাই। চাঁদ নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যেই কৌতূহল দেখা যায়। চাঁদ নিয়ে অনেক বই ও কবিতা রয়েছে। এমনকি অনেক চলচ্চিত্র এবং ধারাবাহিকেও চাঁদকে দেখানো হয়। বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত চাঁদের রহস্য সমাধানের চেষ্টা করছে। চাঁদ হল পৃথিবীর(Earth) একমাত্র উপগ্রহ এবং সৌরজগতের পঞ্চম বৃহত্তম উপগ্রহ, যাকে পৃথিবীর প্রাকৃতিক উপগ্রহ(Natural Satellite) বলা হয়। চাঁদকে আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আকারে দেখি, একে চাঁদের দশা(Moon Phase) বলা হয়।
বাংলায় চাঁদ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ চন্দ্র থেকে এসেছে।এছাড়াও শশধর, শশী প্রভৃতিও চাঁদের সমার্থক শব্দ।মুন শব্দটি জার্মান ভাষা গোষ্ঠীর কোন একটি থেকে এসেছে যার সাথে সম্পর্কিত রয়েছে লাতিন শব্দ "মেনেসিস"।
আকার, আকৃতি এবং আবর্তনঃ
পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে চাঁদের কেন্দ্রের গড় দূরত্ব প্রায় ৩৮৪,৩৯৯ কিলোমিটার(প্রায় ২৩৮,৮৫৫ মাইল)। চাঁদের ব্যাস প্রায় ৩৪৭৪.206 কিলোমিটার(২১৫৯ মাইল), যা পৃথিবীর ব্যাসের এক চতুর্থাংশের চেয়ে সামান্য বেশি। চাঁদের আয়তন পৃথিবীর আয়তনের ৫০ ভাগের এক ভাগ। এর পৃষ্ঠে অভিকর্ষ বল পৃথিবীপৃষ্ঠে অভিকর্ষ বলেের এক-ষষ্ঠাংশ। অর্থাৎ পৃথিবী পৃষ্ঠে কারও ওজন যদি ১২০ পাউন্ড হয়, তাহলে চন্দ্রপৃষ্ঠে তার ওজন হবে ২০ পাউন্ড।
প্রতি ২৭.৩২১ দিনে চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে পূর্ণ আবর্তন সম্পন্ন করে। প্রতি ২৯.৫ দিন পর পর চন্দ্রকলা ফিরে আসে অর্থাৎ একই কার্য ক্রিয়া আবার ঘটে। পৃথিবী, চাঁদ, সূর্যের পর্যায়ক্রমিক আবর্তনের কারণেই চন্দ্রকলার এই পর্যানুক্রমিক আবর্তন ঘটে। বেরিকেন্দ্র নামে পরিচিত একটি সাধারণ অক্ষের সাপেক্ষে পৃথিবী এবং চন্দ্রের ঘূর্ণনের ফলে যে মহাকর্ষীয় আকর্ষণ এবং কেন্দ্রবিমুখী বল সৃষ্টি হয় তা পৃথিবীতে জোয়ার ভাটা সৃষ্টির জন্য দায়ী।
(ছবিঃ চাঁদ) |
চাঁদের গোপন রহস্যঃ
চাঁদের কালো দাগগুলো আমরা পৃথিবী থেকে দেখতে পাই, একে চাঁদের কলঙ্ক বলে। এই কালো দাগগুলো ছাড়াও চাঁদের আরও অনেক রহস্য আছে। সেগুলো হলঃ-
১) আমরা সবাই জানি, ১৯৬৯ সালে নাসার অ্যাপোলো অভিযানের সাহায্যে নিল আর্মস্ট্রং প্রথম চাঁদে পা রাখেন কিন্তু অনেকের মতে তখন কেউই চাঁদে পা রাখেননি।
২) অনেকের ধারণা নাসা যখন অ্যাপোলো অভিযান পাঠায় তখন নাকি চাঁদে ইউ এফ ও(UFO-Unidentified Flying Object) দেখা গিয়েছিল।
৩) অনেকে আবার বলে থাকেন চাঁদে নাকি মানুষের মতো কোনো কিছুর ছায়া দেখা গিয়েছিল, যাকে অনেকে এলিয়েন্স বলেও মেনে নিয়েছে।
যদিও এগুলোর কোনটাই প্রামানিত এখনও প্রমানিত নয়।
এছাড়াও আরো অনেক রহস্য আছে যা সমাধানের জন্য বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করে যাচ্ছে।
চন্দ্র অভিযানঃ
চাঁদে প্রায় আজ পর্যন্ত অনেকগুলো অভিযান পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ছয়টি অভিযান চাঁদের মাটিতে নামানো হয়, যার মধ্যে অ্যাপোলো ১১ অভিযান উল্লেখযোগ্য। আর বাকিগুলো চাঁদের কক্ষপথে পাঠানো হয়। এখন দুটো স্যাটেলাইট চাঁদের কক্ষপথে আবর্তন করছে।২০০৮ সালে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, ইসরো(ISRO) দ্বারাও চাঁদে অভিযান পাঠানো হয়, যার নাম ছিল চন্দ্রযান-১। এই অভিযানের মাধ্যমে চাঁদে জলের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়।
এছাড়াও চাঁদের প্রতি সবার কৌতূহল থাকার জন্য বিভিন্ন দেশের মহাকাশ সংস্থাগুলো চাঁদ নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
মহাকাশচারনা Store:- www.amazon.in/shop/influencer-b8490df8
2 Comments
Darun
ReplyDeleteIts a great pleasure reading your post.
ReplyDeleterouge planet
Post a Comment