৪ বছর আগে আমরা এই দৃশ্য দেখেছিলাম। তখন আমরা খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম। কিন্তু ৪ বছর পর ইসরোর বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার এবং বাকি সমস্ত কর্মীদের লাগাতার কঠোর পরিশ্রমের পর পুরো পৃথিবীবাসী এই দৃশ্য দেখেছে। এই দৃশ্য দেখার পর সমগ্র ভারতবাসী আনন্দে মেতে উঠেছে। সাইকেল ও গরুর গাড়িতে করে রকেট নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে আজ ভারত চাঁদে মহাকাশযান পাঠাতে সফল হয়েছে, তাও আবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। এটা সমগ্র ভারতবাসীর কাছে খুবই গর্বের বিষয়। কারণ চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্যের পর ভারত চাঁদে অবতরকারী চতুর্থ দেশ হলেও, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরকারী প্রথম দেশ হয়েছে, যা আজ পর্যন্ত কোন দেশ করতে পারেনি। এই সফলতার পর নাসা ও অন্যান্য দেশের মহাকাশ সংস্থা এবং পৃথিবীর দিগগজ ব্যাক্তিরা টুইট করে ইসরোকে সংবর্ধনা জানিয়েছে। আর ইসরোর এই কৃতিত্তের জন্য গুগল ২৪ তারিখ চন্দ্রযান ৩ এর একটি ডুডল প্রকাশ করেছিল। এর আগে কিছু দেশ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান পাঠিয়েছিল, কিন্তু তারা সফল হয়নি। এইবিষয়ে বিস্তারিত একটি ভিডিও খুব শীঘ্রই এই চ্যানেলে আপলোড করা হবে, তাই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে পাশের বেল আইকনটি প্রেস করে রাখুন। আজকের ভিডিওতে চন্দ্রযান ৩ এর উৎক্ষেপণ থেকে শুরু করে ল্যান্ডিং অর্থাৎ অবতরণ পর্যন্ত কোনদিন কি হয়েছে এবং রোভারটি কতদিন কাজ করবে সেসম্পর্কিত সমস্ত তথ্য তুলে ধরা হল এবং এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক,

ISRO Chandrayaan 3 Mission All Details

২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ এর অর্ধ সফলতার পর ইসরো চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের সিধান্ত নেয়। এই মিশন অনেক আগেই উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনা ও অন্যান্য সমস্যার কারনসে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে ২০২৩ সালে অর্থাৎ এইবছর ১৪ ই জুলাই, শুক্রবার দুপুর ২ টো ৩৫ এ LVM3-M4 লঞ্চ ভেইকেলের সাহায্যে ভারতের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এরপর ২১ দিন পৃথিবীর কক্ষপথে আবর্তনের পর ৫ ই আগস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল। এরপর ১৭ ই আগস্ট ল্যান্দার মডিউল যখন প্রপালশন মডিউলের থেকে আলাদা লোয়ার অরবিটে পৌঁছেছিল, তখন ল্যান্দার মডিউল একটি মেসেজ পাঠিয়েছিল, “Thanks for the ride, mate” অর্থাৎ “আমাকে এখান পর্যন্ত আনার জন্য ধন্যবাদ বন্ধু”। ২১ তারিখ চন্দ্রযান ৩ যখন চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫০ কিমি উচ্চতার কাছাকাছি চলে আসে, তখন ইসরোর তরফে জানানো হয়, যদি স্যান্ড স্ট্রম অর্থাৎ চাঁদে বালির ঝড় দেখা যায় অথবা অন্যান্য কোন সমস্যা থাকে তাহলে চন্দ্রযান ৩ এর অবতরণ পিছিয়ে তা ২৭ তারিখ করা হবে। এবং ইসরোর চেয়ারম্যান বলেছিলেন যে, যদি এই মহাকাশযানের কোন যন্ত্র কাজ করা বন্ধও করে দেয়, তাহলেও চন্দ্রযান ৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ড করবে। যখন মহাকাশযানটি প্রায় ৩০ কিমি উচ্চতায় চলে আসে, তখন থ্রাস্তারের মাধ্যমে সেটিকে ৭ কিমি উছহতার কাছাকাছি নিয়ে আসা হয়। একে রাফ ব্রেকিং ফেস বলা হয়। এরপর ধীরে ধীরে ২ কিমি, ১ কিমি, ৮০০ মিটার, ১৫০ মিটার এবং অবশেষে চন্দ্রযান ৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করে এবং সমগ্র ভারতবাসী আনন্দে মেতে ওঠে। এর আগে ২০১১ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতার পর ভারতবাসী এতটা আনন্দিত হয়েছিল। চাঁদে অবতরণের পর মহাকাশযানটি ইসরোকে মেসেজ পাঠায় যে, আমি পৌঁছে গেছি। এরপর বিক্রম ল্যান্দার যেখানে অবতরণ করেছিল, মহাকাশযানটি সেখানকার একটি ছবি পাঠিয়েছিল। আর প্রজ্ঞান রোভারও তার কাজ শুরু করে দিয়েছে। এই রোভার প্রায় ১৪ দিন পর্যন্ত তার কাজ করবে।

   মহাকাশচারনা" ফেসবুক পেজে প্রতিদিন মহাকাশ সম্পর্কিত বিভিন্ন রহস্যময় ও সাম্প্রতিক তথ্য ও ঘটনা পোস্ট দেখতে পাবেন।                                                                                     তাই মহাকাশের রহস্যগুলো সম্পর্কে জানতে "মহাকাশচারনা" ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে সঙ্গে থাকুন ।

ফেসবুক পেজের লিংক 👉 ➡️ Facebook Page

ওইদিন ইসরোর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রায় ৮ মিলিয়ন মানুষ চন্দ্রযান ৩ এর লাইভ অবতরণ দেখছিলেন। এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে, ভারতবাসী মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি কতটা আগ্রহী এবং ইসরোকে কতটা ভরসা করে। কারণ এই ভিউ নাসা, স্পেস-এক্স এবং ফুটবল বিশ্বকাপের লাইভ কেও হার মানিয়েছে। 

মহাকাশের রহস্যময় ও সাম্প্রতিক তথ্য এবং ঘটনাগুলো সম্পর্কিত প্রতিনিয়ত ভিডিও দেখার জন্য "মহাকাশচারনা" ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। 

ইউটিউব চ্যানেল লিঙ্ক 👉 ➡️ YouTube

আরও বিস্তারিত জানতে নিম্নের ভিডিওটি দেখতে পারেন ↴