জ্যোতির্বিদ্যার তথ্য অনুযায়ী, গত ১৮ বছরে মোট ৪১ টি গ্রহণ দেখা গেছে। সাধারণত অমাবস্যা তে সূর্যগ্রহণ এবং পূর্ণিমাতে চন্দ্রগ্রহণ হয়।
আমরা জানি যে, পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে যদি চাঁদ চলে আসে এবং তারা একই সরলরেখায় থাকে তখন সূর্যগ্রহণ হয়। আর চন্দ্রগ্রহণের ক্ষেত্রে ঠিক তার বিপরীত হয়। চাঁদ ও সূর্যের মাঝে পৃথিবী চলে আসলে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে, তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়।
প্রতিবছর সাধারণত ৪-৫ টি গ্রহণ দেখা যায়। একই বছরে ৭-৮ টি গ্রহণ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এইবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে মোট চারটি গ্রহণ দেখা যাবে, যার মধ্যে দুটি সূর্যগ্রহণ ও দুটি চন্দ্রগ্রহণ হবে।
তো আজকে ২০২৩ সালে কবে পৃথিবীর কোন প্রান্ত থেকে কোন গ্রহণ দেখা যাবে এবং ভারত ও বাংলাদেশ
থেকে এই সমস্ত গ্রহণ দেখা যাবে কিনা সেই বিষয়েই বিস্তারিত বলা হয়েছে। তো
চলুন জেনে নেওয়া যাক,
২০ এপ্রিল, বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ
এইবছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ ২০
এপ্রিল প্রায় সকাল ৭ টা থেকে দুপুর ১২:৩০ পর্যন্ত দেখা যাবে। এটি একটি হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ
হবে, যা খুবই বিরল প্রকৃতির সূর্যগ্রহণ। এই হাইব্রিড কথার অর্থ কি এবং এটি কবে কখন
কোথা থেকে দেখা যাবে, সেবিষয়ে বিস্তারিত একটি ভিডিও আমি এই ভিডিওর এন্ড স্ক্রিনে দিয়ে
দেব। আপনি সেখান থেকে ভিডিওটি দেখতে পারেন।
৫
মে, প্রথম চন্দ্রগ্রহণ
৫ ই মে দ্বিতীয় গ্রহণ দেখা যাবে।
এটি বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হবে। এই গ্রহণ রাত্রি ৮:৪৪-১ টা পর্যন্ত দেখা যাবে। ইউরোপ,
এশিয়া, আফ্রিকা, অ্যান্টার্কটিকা থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে। তবে খালি চোখে এই গ্রহণ
দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
১৪
মে, দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ
তৃতীয় গ্রহণ ১৪ ই মে দেখা যাবে।
এটি একটি বৃত্তাকার সূর্যগ্রহণ হবে। কীভাবে সম্পূর্ণ, বৃত্তাকার, আংশিক গ্রহণ সৃষ্টি
হয়, সেবিষয়ে জানতে হলে হ্যাঁ বা ইয়েস লিখে কমেন্ট করুন। নুন্যতম ১০০ টি লাইক ও ২০ টি
কমেন্ট আসলে আমি এবিষয়ে বিস্তারিত একটি ভিডিও আপলোড করবো। দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণটি আফ্রিকা,
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে দেখা যাবে।
মহাকাশচারনা" ফেসবুক পেজে প্রতিদিন মহাকাশ সম্পর্কিত বিভিন্ন রহস্যময় ও সাম্প্রতিক তথ্য ও ঘটনা পোস্ট দেখতে পাবেন। তাই মহাকাশের রহস্যগুলো সম্পর্কে জানতে "মহাকাশচারনা" ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে সঙ্গে থাকুন ।
২৮
অক্টোবর, শেষ চন্দ্রগ্রহণ
0 Comments
Post a Comment