পৃথিবীতে পাওয়া সবথেকে বড় উল্কা – Biggest Meteorite Found on Earth
· পৃথিবীতে পাওয়া
সবথেকে বড় উল্কার নাম কি?
· পৃথিবীর সবথেকে বড়
উল্কা কোথায় পাওয়া গেছে?
· সবথেকে বড়
উল্কাপিণ্ডের ওজন কত?
বৈজ্ঞানিক তথ্যানুযায়ী, প্রতিনিয়ত প্রায় ৪৮ টন উল্কা পৃথিবীর দিকে আসে, যাদেরকে আমরা মেটেওর বলি। সাধারণত উল্কা পৃথিবীর আকর্ষণে ভূপৃষ্ঠের দিকে ধাবিত হলেও তাদের 99% বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘর্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তাই সেগুলকে আমরা দেখতে পাই না। কিন্তু কিছু বড়ো উল্কা বায়ুমণ্ডলের বাধা পেরিয়ে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ে। উল্কার এই অংশটিকে মেটেওরাইট বা উল্কাপিণ্ড বলা হয়।
কিন্তু আপনি কি জানেন, এখনও পর্যন্ত পৃথিবীতে পাওয়া সবথেকে বড় উল্কাপিণ্ড কোনটি
এবং এটি কোথায় পাওয়া গিয়েছিল।
আমরা
সবাই জানি যে, আমাদের সৌরজগতের সব গ্রহাণু মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝে অবস্থিত গ্রহাণু
বেষ্টনীর মধ্যেই রয়েছে। আর বেশিরভাগ গ্রহাণু এই গ্রহাণু বেষ্টনী থেকেই আসে। কিছু
কিছু গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে চলে যায়। যেমন ২০২১ সালে ১৯৯৮ ও আর ২(1998)
গ্রহাণু। বিজ্ঞানীদের মতে, ২০২৯ সালেও একটি গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাবে। এই
গ্রহাণু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। বৈজ্ঞানিক
তথ্যানুযায়ী, বেনু গ্রহানু ভবিষ্যতে পৃথিবীকে ধাক্কা মারতে পারে। তাই বিজ্ঞানীরা
এইসব গ্রহাণুর বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
"মহাকাশচারনা" ফেসবুক পেজে প্রতিদিন মহাকাশ সম্পর্কিত বিভিন্ন রহস্যময় ও সাম্প্রতিক তথ্য ও ঘটনা পোস্ট দেখতে পাবেন। তাই মহাকাশের রহস্যগুলো সম্পর্কে জানতে "মহাকাশচারনা" ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে সঙ্গে থাকুন ।
ফেসবুক পেজের লিংক 👉 ➡️ Facebook Page
এবার
ওই উল্কাপিণ্ডের ব্যাপারে বলি। ১৯২০ সালে এক কৃষক জমিতে হাল করছিল। এমন সময় হঠাৎ
একটি বস্তু তার নজরে পরে। প্রথমে তিনি এটিকে পাথর ভাবেন। তারপর চাকু দিয়ে এর ওপর
স্ক্রাচ বানানোর পর তিনি ধাতু দেখতে পান। কিছুটা খোঁড়ার পর তিনি বুঝতে পারেন এটি লোহা
দিয়ে তৈরি। এরপর তিনি লোকাল অথরিটিতে খবর দেন। বিজ্ঞানীরা এটা দেখে বুঝতে পারেন
এটা একটি উল্কাপিণ্ড। কিন্তু তারা অবাক হয়ে যান, কারণ এটা পড়ার পর ওখানে কোন
গর্তের সৃষ্টি হয়নি। এটি প্রায় ৯ ফুট এবং এর আকার টেবিলের মতো। এটি কবে পৃথিবীতে
পড়েছিল তা নিয়ে সংশয় আছে, তবে বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় ৮০০০০ বছর আগে এটি সৌরজগতের
গ্রহাণু বেষ্টনীতেই পরিভ্রমণ করতো। ১৯২০ সালে এটি নামিবিয়াতে পাওয়া গিয়েছিল। এটি
৮৪% লোহা এবং ১৬% নিকেল দিয়ে তৈরি। এর ওজন প্রায় ৬৬ টন অর্থাৎ ৬৬০০০ কেজি। এটা
এতটাই ভারী যে, একে আর সেখান থেকে সরানো হয়নি। এর নাম "হোবা ওয়েস্ট"। এটা আজও ওখানেই আছে এবং অনেক দূর
দূর থেকে ট্যুরিস্টরা এটি দেখতে আসেন।
মহাকাশের রহস্যময় ও সাম্প্রতিক তথ্য এবং ঘটনাগুলো সম্পর্কিত প্রতিনিয়ত ভিডিও দেখার জন্য "মহাকাশচারনা" ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।
0 Comments
Post a Comment