আমরা অনেকেই মহাকাশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানি।কিন্তু মহাকাশ এমনই এক বিষয়,যার জানার কোন শেষ নেই।মহাকাশ সম্পর্কে প্রতিদিন নতুন নতুন খবর শোনা যায়।যেমন - গ্রহ নক্ষত্রের খবরাখবর, রকেট লঞ্চ, ব্ল্যাক হোল বা কোন গ্যালাক্সি আবিষ্কার ইত্যাদি।আর আপনাকে এই সমস্ত খবরের আপডেট দেওয়ার জন্য “মহাকাশচারনা” সবসময় তৈরি থাকে।তাই মহাকাশ সম্পর্কে সবসময় আপডেটেড থাকার জন্য “মহাকাশচারনা” চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে পাশের বেল আইকনের অল নোটিফিকেশনে ক্লিক করে দিন।
বলুন তো, কোন গ্রহে পাথরের বৃষ্টি হয়, কে চাঁদে জমি বিক্রি করে, বিশপ রিং কি, মহাকাশে কীভাবে সিমলা মিরচি পাওয়া যাবে?
আজকে এইসমস্ত মজাদার ও আকর্ষণীয় তথ্যের বিষয়েই আলোচনা করা হল।সুতরাং অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
১) সময় বড়ো অদ্ভুত – Space Time
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের হিসাব অনুযায়ী সময় বড়ো অদ্ভুত এবং দারুন জিনিস।এর কারণ কি, যদি কোন বস্তু খুব বড়ো হয় কিংবা যদি বস্তুটি প্রচন্ড গতিতে ঘোরে, তাহলে তার চারপাশে সময় খুব ধীর হয়ে যায়। আবার যদি কোন বস্তু আলোর গতিতে দৌড়ায় তাহলে সেখানে সময় থেমে যায়।আর ব্ল্যাক হোলের কেন্দ্র বিন্দুতে সময় একজিস্ট করে না। অর্থাৎ ব্ল্যাকহোলের কেন্দ্রতে সময়ের কোন অস্তিত্ব নেই।
২) নীল আর্মস্ট্রং এর ফিরে আসার ব্যাপারে কি নাসা জানত?
২০ জুলাই ১৯৬৯ তারিখে মানুষ প্রথম চাঁদের বুকে পা রেখেছিল।
আমেরিকান নভোচারী নিল আর্মস্ট্রং ছিলেন সেই ব্যাক্তি যিনি প্রথম চাঁদে পা রেখেছিলেন।
আর অ্যাপোলো ১১ ছিল প্রথম মহাকাশযান যার মাধ্যমে এই অভিযান সফল হয়েছিল।
কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, নাসার বিশ্বাসই ছিল না যে নিল আর্মস্ট্রং
এবং তার সাথীরা পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারবে কিনা।
এইজন্য স্রধাঞ্জজলি দেওয়ার ভাষণও লেখা হয়েছিল, যা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সনের পড়ার কথা ছিল। কিন্তু সৌভাগ্যবশত ২৪ জুলাই নিল আর্মস্ট্রং এবং তার দল পৃথিবীতে ফিরে এসেছিলেন আর রাষ্ট্রপতিকে স্রধাঞ্জলির ভাষণও দিতে হয়নি।
৩) ঘুমের মধ্যে আমরা স্বপ্ন দেখি কেন?
আমরা তো সবাই স্বপ্ন দেখি এবং স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি।অথচ আমরা যখন ঘুমোই তখন আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো সম্পর্কে কিছুই বুঝতে পারি না।কিন্তু ঘুমোনোর সময় স্বপ্নের মাধ্যমে এমন কিছু ঘটনা চোখের সামনে ভেসে ওঠে, যেগুলো হয়তো আগে কখনো ঘটেনি বা হয়তো ভবিষ্যতেও কোনোদিন ঘটবে না।তাই স্বপ্ন নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন।অনেক বিজ্ঞানীদের মতে, আমরা যেসব ঘটনা নিয়ে সাধারণত ভাবনা-চিন্তা করি, সেগুলোই আমাদের স্বপ্নের মাধ্যমে ভেসে ওঠে।আর অনেকের মতে, এগুলো পূর্ব জন্মের কোন ঘটনা।আর কিছুজন মনে করেন যে, এটা প্যারালাল ইউনিভার্সের কারণে ঘটে থাকে।
আমরা হয়তো অনেকেই জানি না যে, ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনকে পৃথিবী থেকে খালি চোখে দেখা যা।হ্যাঁ আপনারা ঠিকই শুনেছেন আমেরিকান স্পেস এজেন্সি নাসার একটি ওয়েবসাইট আছে, যার নাম স্পট দা স্টেশন(Spot the station) এই ওয়েবসাইটে গিয়ে কেউ যদি তার লোকেশন সার্চ করেন তাহলে ঠিক কোন দিন কোন সময়ে ঠিক কতক্ষণের জন্য ওই জায়গা থেকে আকাশের কোনদিকে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন দেখা যাবে তার সঠিক বিবরণ পাওয়া যায়।ডেসক্রিপশনে ওই ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দেওয়া আছে,আপনারা ওই লিঙ্ক থেকে নিজের লোকেশন দিয়ে সার্চ করতে পারেন এবং এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে নীচে দেওয়া লিংক থেকে বাংলায় লেখা ব্লগটি পড়তে পারেন।
৫) একটি মহামূল্যবান গ্রহাণু খুঁজে পেল নাসা?
আপনারা কি জানেন, নাসা একটি মহামূল্যবান গ্রহাণুর খোঁজ পেয়েছে।এই গ্রহাণুটি মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝে অবস্থিত গ্রহাণু বেষ্টনীতে রয়েছে।গ্রহাণু বেষ্টনীতে যেসব ক্ষুদ্র গ্রহাণুগুলি রয়েছে, এটি তাদের মধ্যে একটি।কিন্তু প্রশ্ন
হল, নাসা এই গ্রহাণুর বিষয়ে জানতে এত আগ্রহী কেন??
এই গ্রহাণু মূলত লোহা,নিকেল,সিলিকা দিয়ে তৈরি, তবে এর মধ্যে আরও অন্যান্য ধাতু রয়েছে।এর মধ্যে যে পরিমাণ লোহা রয়েছে, তার দাম হতে পারে আনুমানিক ১০ হাজার কোয়াড্রিলিয়ন পাউন্ড সেইজন্য নাসা ২০২২ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে এই গ্রহানুতে মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে।এলন মাস্কও এই মিশনে নাসার সঙ্গে আছে।এই গ্রহাণুর নাম “১৬ সাইকি”।
মহাকাশে অনেক রহস্যময় গ্রহ রয়েছে।এমনই একটি রহস্যময় গ্রহ রয়েছে, যেখানে পাথরের বৃষ্টি হয়।আপনারা কি জানেন এই গ্রহের নাম কি? তো চলুন জেনে নেওয়া যাক,
করোট-7B নামক একটি গ্রহ রয়েছে,যা পৃথিবীর থেকে দিগুন বড়।এই গ্রহেই পাথরের বৃষ্টি হয়।
কিন্তু প্রশ্ন হল কেন এই গ্রহে পাথরের বৃষ্টি হয়??
আসলে এই গ্রহের তাপমাত্রা অনেক বেশি। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে এই গ্রহের পাথর গলে যায় এবং বাষ্প হয়ে মেঘে পরিণত হয় এবং বৃষ্টি রুপে পতিত হয়।
৭) কে চাঁদের জমি বিক্রি করে?
সেলিব্রিটিরা চাঁদে জমি কিনেছে একথা তো প্রায়ই শোনা যায়।কিন্তু আপনারা কি জানেন কে চাঁদে জমি বিক্রি করে?চাঁদে জমি বিক্রি করে লুনার অ্যাম্বাসি নামের এক সংস্থা, যার অর্থ চন্দ্র দূতাবাস।এই সংস্থাটিই চাঁদের সব জায়গাজমির দেখভাল করে।কিন্তু প্রশ্ন হলে যে, এই সংস্থাটি কার? এই সংস্থাটি মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপের এবং তিনি নিজেই এই সংস্থার সি ই ও।বর্তমানে চাঁদের মালিকানা তার কাছেই রয়েছে।
কীভাবে সে চাঁদের মালিক হল এবং কীভাবে চাঁদে জমি কেনা যায় সেসম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে কমেন্ট করে জানাবেন।
৮) ডেজা ভু কি?
আপনারা ডেজা ভু কথাটা সবাই শুনেছেন।কিন্তু জানেন এর অর্থ কি?
আপনি হয়তো এখন যা করছেন বা এখন আপনার সাথে যা ঘটছে সেটা হয়তো আগেও আপনার সাথে হয়েছে।এইরকম তো আপনার একবার হলেও মনে হয়েছে।আর এই ঘটনাকেই ডেজা-ভু(Deja vu) বলা হয়।অনেকে মনে করেন, এটা হয়তো প্যারালাল ইউনিভার্সের অন্য কোনো গ্রহে আমাদের মতো হুবহু দেখতে ব্যক্তির সঙ্গে ঘটে গেছে, কিন্তু এখন সেটা আমাদের সঙ্গে ঘটছে।তাই এরকম মনে হয়।
আপনাদের এই বিষয়ে কি মনে হয়, সেটা কমেন্ট করে জানাবেন।
১০) মহাকাশে বিশপ রিং কি?
ভবিষ্যতে মহাকাশে মানুষের থাকার জন্য কৃত্তিম জায়গা বানানোর প্রস্তুতি চলছে।কিন্তু প্রশ্ন হল যে এটা কীভাবে সম্ভব?
বিজ্ঞানীরা বিশপ রিং নামক এক কৃত্রিম বস্তু তৈরি করছে। ফরেস্ট বিশপ এটির পরিকল্পনা করেন, তাই এটির নাম বিশপ রিং রাখা হয়েছে। এর এরিয়া প্রায় ভারত দেশের সমান হবে এবং একে প্রচণ্ড গতিতে ঘোরানো হবে, যাতে সেন্ট্রিফিউগাল ফোরস থেকে কৃত্রিম অভিকর্ষ উৎপন্ন হবে।তারপর জল ও খাবারের ব্যাবস্থা করা সম্বভ হলে এখানে জীবনধারণও সম্ভব হবে।
১০) মহাকাশে সিমলা মিরচি
মহাকাশপ্রেমিদের জন্য সুখবর রয়েছে। আসলে আমেরিকান স্পেস এজেন্সি নাসা প্রথমবার মহাকাশে সিমলা মিরচি চাষ করতে সফল হয়েছে। আর এটি সবথেকে ঝুঁকিপূর্ণ ষ্টেশন প্ল্যান্ট গুলোর মধ্যে একটি। নাসা জানিয়েছে, সিমলা মিরচিকে প্ল্যান্ট হাবিটাট – 04(Plant Habitat-04) উৎপন্ন করা হয়েছিল। এমনকি প্রথম যেসব মিরচি উৎপন্ন হয়েছিল সেগুলো তুলে নেয়াও হয়েছে। আর অখানে উপস্থিত মহাকাশচারীরা এই মিরছ ব্যাবহার করে একটি সুন্দর ডিশ তৈরি করে সেটি আনন্দের সাথে উপভোগ করেছিলেন।
0 Comments
Post a Comment