এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড অনন্ত এবং মহাকাশে রহস্যের কোনো শেষ নেই। এইসব রহস্যের ব্যাপারে আমরা এখনো সেরকম কিছুই জানিনা।এখানে অসংখ্য রহস্যময় মহাকাশীয় বস্তু আছে, যাদের নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনবরত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এইধরনের একটি মহাকাশীয় বস্তু হল বেনু গ্রহানু বা বেনু অ্যাস্টেরয়েড(Bennu asteroid)। সম্প্রতি নাসা এই গ্রহানুতে একটি মহাকাশযানকে অবতরণ করিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে বেনু গ্রহানু পৃথিবীকে ধাক্কা মারতে পারে। আপনাদের কি মনে হয় এই গ্রহাণু কি সত্যিই ভবিষ্যতে পৃথিবীকে ধাক্কা মারতে পারে? আপনাদের মতামত অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
তবে নাসা কি উদ্দেশ্যে বেণুতে মহাকাশযান(spacecraft) পাঠিয়েছে? কবে এই মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল? এর কাজ কি? এই অভিযানটি ঠিক কতদিনের জন্য অর্থাৎ কতদিন পর এই অভিযান শেষ হবে? নিম্নে সেইসব বিষয়েই বিস্তারিত বলা হয়েছে।তো চলুন জেনে নেওয়া যাক।
![]() |
বেণু গ্রহাণুতে নাসার মহাকাশযান |
নাসা বেণুর উদ্দেশ্যে যে মহাকাশযানটি পাঠিয়েছে তার নাম “অসিরিস-রেক্স”(Osiris-REx)।২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।নাসার বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুকে টাইম ক্যাপসুল(Time capsule) বলে। কারন সৌরমণ্ডল সৃষ্টি হওয়ার পর তার বেঁচে থাকা অংশগুলো দিয়ে গ্রহাণু তৈরি হয়।বেণু(Bennu) সূর্য থেকে প্রায় ১০৫ মিলিয়ন মাইল দূরে রয়েছে এবং পৃথিবী(Earth) সূর্য থেকে প্রায় ৯৩ মিলিয়ন মাইল দূরে রয়েছে। সুতরাং এর থেকে আপনারা বুঝতেই পারছেন যে, পৃথিবী থেকে বেণুর দূরত্ব ঠিক কতটা।নাসার গবেষণা অনুযায়ী বেণু প্রত্যেক ৬ বছর অন্তর পৃথিবীর কাছাকাছি আসে। প্রায় সাড়ে ৪ আরব সাল পূর্বে এই গ্রহাণুর সৃষ্টি হয়েছিল, যা সৌরমণ্ডল(solar system) সৃষ্টির সমসাময়িক।
অসিরিস-রেক্স ২০১৮ সালে বেণুর কক্ষপথে প্রবেশ করে এবং তারপর থেকে ওই গ্রহাণুর কক্ষপথে আবর্তন করতে থাকে।অবশেষে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে অর্থাৎ এইবছর 20 অক্টোবর মহাকাশযানটি বেণুর নাইটিঙ্গেল(nightingale) নামক ক্রেটারে অবতরণ করেছে।নাসার মতে, এই ক্রেটারটি স্যাম্পল সংগ্রহের জন্য উপযুক্ত।কারন এখানে ধুলো, বালি, কাঁকর, পাথর যথেষ্ট পরিমানে উপস্থিত আছে।বিজ্ঞানীদের কমপক্ষে ৬০ গ্রাম স্যাম্পলের দরকার হবে।যদি ৬০ গ্রাম স্যাম্পল পাওয়া যায় তাহলে ঠিক আছে।নাহলে ৩০ অক্টোবর নাসার বিজ্ঞানীরা আবার আলোচনায় বসবেন।
![]() |
অসিরিস-রেক্স(Osiris-REx) |
এবার আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে,নাসা এই স্যাম্পল সংগ্রহ করছে কেন? বা এই স্যাম্পল দিয়ে নাসা কি করবে? আসলে এর সাহায্যে বিজ্ঞানীরা সৌরমণ্ডলের উৎপত্তির ব্যাপারে গবেষণা করবেন।সৌরমণ্ডলের নির্মাণ কিভাবে হয়েছে এবং পৃথিবীতে কিভাবে জীবন সৃষ্টি হল? তাও ওই স্যাম্পলের মাধ্যমে খোঁজার চেষ্টা করা হবে।.........কারন অনেক বিজ্ঞানীর মতে গ্রহাণুর সাথে পৃথিবীর ধাক্কা লাগার ফলে পৃথিবীতে জীবন সৃষ্টি হয়েছিল।
২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ওই স্যাম্পল সহ মহাকাশযানটি পৃথিবীতে ফিরিয়ে নিয়ে
আসা হবে।তারপর গবেষণা শুরু হবে।
নিম্নে নাসার ওয়েবসাইটের
লিঙ্ক দেওয়া আছে, আপনারা চাইলে সেখান থেকে বেণু গ্রহাণু সম্পর্কিত নতুন প্রতিবেদনটি
পড়তে পারেন।
আপনাদের এই বিষয়ে আরও কিছু জানার থাকলে নিম্নলিখিত ভিডিওটি দেখতে পারেন অথবা কমেন্ট করেও জানাতে পারেন।
মহাকাশ সম্পর্কে সবসময় আপডেটেড থাকার জন্য "মহাকাশচারনাকে"
ফেসবুক(Facebook),ইন্সটাগ্রাম(Instagram),টেলিগ্রাম(Telegram) ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ফলো করবেন।
0 Comments
Post a Comment