২০১৮ সালের ১৫ ই আগস্ট ৭২ তম স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন যে, ২০২২ সালের মধ্যে ভারত মহাকাশে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হবে।আর এই অভিযানের নাম হল গগনযান(Gaganyaan)।এটা হলো ভারতের প্রথম মানব অভিযান(India's first manned mission-gaganyaan mission), যা মহাকাশে মানুষ নিয়ে যাবে।এবার আপনারা বলবেন যে, রাকেশ শর্মা (Rakesh Sharma)হলেন প্রথম ভারতীয় যিনি মহাকাশে গিয়েছিলেন।হ্যাঁ এটা ঠিক, কিন্তু উনি ভারতীয় নাগরিক হলেও গিয়েছিলেন রাশিয়ার অভিযানের উদ্দেশ্য।আর গগনযান হল সম্পূর্ণ ভারতীয় অভিযান, যা ভারতে তৈরি হবে এবং এতে আরোহনকারী মহাকাশচারীরাও ভারতীয় হবে।যদিও ভারতের এই অভিযানে রাশিয়া এবং ফ্রান্স ভারতকে সাহায্য করবে।
গগনযান মিশনের বিবরণঃ
এই মিশনে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে।এটি সম্পন্ন করতে ইসরোর(ISRO) প্রায় তিন থেকে চার বছর সময় লাগতে পারে।এর জন্য ভারতীয় মহিলা বৈজ্ঞানিক ডঃ ললিতাম্বিকাকে(Dr V.R Lalithambika) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে(Gaganyaan mission project director), যিনি একজন রকেট বিজ্ঞানী।উনি প্রায় 30 বছর ধরে ইসরোতে কাজ করছেন।ট্রেনিংয়ের জন্য প্রায় ২০০ জন উইং কমান্ডারকে বেছে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে মাত্র তিনজনকেই এই মিশনের উদ্দেশ্যে পাঠানো হবে।এটি জি এস এল ভি মার্ক-III(GSLV mk-III) দ্বারা উৎক্ষেপণ করা হবে।এর ক্যাপসুলে কেবল মাত্র তিনজন মানুষেরই থাকার জায়গা হবে। এর মধ্যে দুজন পুরুষ এবং একজন মহিলা কে পাঠানো হবে। এটি সাত দিনের জন্য পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার ওপরে,কক্ষপথে পাঠানো হবে।এর জন্য এখন ট্রেনিং এবং টেস্টিং চলছে।মহাকাশে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম পরিস্থিতি মোকাবিলার সঙ্গে সঙ্গে মহাকর্ষ বলেরও মোকাবিলা করতে হয়।আপনারা হয়তো জানেন না মহাকাশে মানুষকে পাঠানোর জন্য যতটা ট্রেনিং দিতে হয় মহাকাশ থেকে আসার পর সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য তাকে আরও বেশি ট্রেনিং নিতে হয়।মহাকাশে থাকার ফলে হার্ট, চোখ এবং অস্থির ওপর প্রচন্ড প্রভাব পড়ে। তাই মহাকাশচারীদের বিভিন্ন রকম ট্রেনিং দেওয়া হয়।
(ছবিঃ জি এস এল ভি মার্ক III-ডি ২ )
0 Comments
Post a Comment